**The Pain of the Machine**_যন্ত্রের যন্ত্রণা

 

**The Pain of the Machine** **Sharmeen Ahmed** 1. “Sharmeen Ahmed, is that your name?” The white-blooded human or the machine sitting next to Sharmeen Ahmed asked the question calmly, not noticing the discomfort. Perhaps the human-like machine was so at ease because it didn’t sense any discomfort from her. Sharmeen Ahmed knew that they could guess the name and nature of a person with sheer intuition. Their intelligence had been controlled from birth. Moreover, they had their death date set along with their birth date. They weren’t eternal, just like humans, they were mortal. “What do you do?” The human-like machine asked curiously, as if it were a genuinely inquisitive person. Sharmeen Ahmed, putting aside her book, glanced at it for a moment. It was truly human. She responded, “I am a mind doctor, I read minds and cure mental ailments.” The machine seemed even more curious. “Should I tell you about my mental issues? Will you listen to my story?” Sharmeen Ahmed smiled a little. She realized that the curiosity of this machine was overwhelming. The handsome man-like machine sitting beside her was eager to share his story. Moreover, their train was heading to the farthest edge of the galaxy, and it would take another hour or so to reach there. So, why not listen to the story? “Go ahead, I’ll listen.” He began his story. “I’m Rukio, and I live in a small country on Earth. I was born there. As I grew older, I came to understand who I am and why I was born. Accepting all of that, I later found out the date of my death as well. Then, in the process of growing up, I lost myself in the unknown. But the painful part is this: I fell in love with someone deeply. And she’s a human. I know it’s not allowed, but I couldn’t stop myself from falling in love. And I believe she loves me too. But the problem is my age. I will cease to exist after today, so I no longer speak to her. I hope she remains happy, and with that hope, I will go away and die somewhere far. I know if I am around, she will try to bring me back, but I want her to love me for eternity, whether I exist or not. I want her to love me.” Did this bore you? The machine paused and looked at Sharmeen Ahmed with a questioning gaze. “No, I wasn’t bored. What you said is true, we humans don’t know when our death will come, so fear arises in us about when it will happen. But life doesn’t fear death. Humans don’t fear death, they fear losing their loved ones. That loved one could be themselves, someone else, or family. There is no certainty. You fear losing your loved one and wondering what will happen next. What will they do? That’s why you told me your story. In exchange, I don’t know how I can reassure you. But I believe you are ready. That’s why you were able to make such a decision. You are a courageous man, Rukio. I wish for your love to be long-lasting.” Rukio smiled faintly, perhaps feeling a little lighter. But before long, he leaned back in his seat, and his head rested on Sharmeen Ahmed’s shoulder. His hands drooped in weight. His legs began to move strangely. A white liquid began to drip from one side of his head. Sharmeen Ahmed felt a pang in her heart, her eyes filled with pity, sorrow, regret, and remorse. In her hand was a letter. The last letter written by his daughter, meant for Rukio. She had never read it or given it to Rukio. She didn’t know what was written in that letter, but she didn’t want to add to Rukio’s pain of death. She didn’t want to inflict more suffering on such a compassionate machine. So, she silently listened and offered him her encouragement.

(This English I converted for my other friends using chat gpt, hoping that its done its job nicely, thank you and enjoy, also give some feedback if you can)

যন্ত্রের যন্ত্রণা

শারমিন আহমেদ

১.

“শারমিন আহমেদ আপনার নাম?”

সাদা রক্ত প্রবাহিত মানুষটি অথবা যন্ত্রটি শারমিন আহমেদের ঠিক পাশে বসে আছেন। উনার অস্বস্তি হচ্ছে না দেখেই হয়তো মানব যন্ত্রটি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে প্রশ্নটি করলেন। শারমিন আহমেদ জানেন এরা আন্দাজ শক্তি দিয়ে বলতে সক্ষম কার কী নাম। কে কেমন স্বভাবের। এদের ইনটালিজেন্সকে নিয়ন্ত্রিত করে দেওয়া হয়েছে জন্মের সময়। তাছাড়া এদের জন্ম তারিখের সাথে জুড়ে দেওয়া হয়েছে মৃত্যুর তারিখও। এরা চিরস্থায়ী নয়, মানুষের মতো নশ্বর।

“আপনি কী করেন?”

মানব যন্ত্রটি একজন কৌতুহলপ্রবন মানুষের মতোই প্রশ্নটি করলেন।

শারমিন আহমেদ বই শোনা বাদ দিয়ে একবার তার দিকে তাকালেন, নিতান্তই মানুষ সে। উত্তরে বললেন, “আমি একজন মনের ডাক্তার, মন পড়ি, মনের রোগ সারাই।”

মানব যন্ত্রটি এবার যেন আরও কৌতুহল নিয়ে তাকাল। “আপনাকে আমার মনোরোগ নিয়ে বলবো? আমার গল্প শুনবেন?”

শারমিন আহমেদ কিছুটা হাসলেন। তিনি বুঝতে পেরেছেন এ যন্ত্রটির কৌতুহল খুব বেশি। অবিকল মানুষ রূপের সুদর্শন এই পুরুষ যন্ত্রটির গল্প শুনতে তিনি আগ্রহী। তাছাড়া তাদের ট্রেন গ্ল্যাক্সির শেষপ্রান্ত পর্যন্ত যেতে আরও ঘন্টা আধেক সময় নেবে।

সুতরাং গল্প শোনা যেতেই পারে, “বলুন, শুনবো”

সে শুরু করল তার গল্প, “আমি রুকিও, পৃথিবীর বুকে ছোট্ট একটা দেশে থাকি, ওখানেই আমার জন্ম। আমার বয়স বাড়ার সাথে জানতে পারি আমি কে, আমার জন্ম কেন। এসব মেনে নিয়ে আমি যখন বেড়ে উঠি আমি আমার মৃত্যুর তারিখ সম্পর্কেও জানতে পারি। এরপর আমার বড় হয়ে উঠা বেড়ে উঠার মাঝে আমি আমাকে হারিয়ে ফেলি অজানাকে জানতে। কিন্তু কষ্টের কথাটা হলো একটা জায়গায়, আমি একজনকে খুব ভালোবেসে ফেলেছি। আর সে একজন মানুষ। জানি নিয়ম নেই,

তাও প্রেমে পড়ে যাওয়াকে আমি থামাতে পারিনি। আর আমি বিশ্বাস করি সে মেয়েও আমাকে ভালোবাসে। কিন্তু সমস্যা হলো আমার বয়স। আমি নেই হয়ে যাবো আজকের পর, তাই ওর সাথে আমি আর কথা বলি না। ও ভালো থাকুক এ আশা নিয়ে আমি দূরে কোথাও গিয়ে মারা যাবো। আমি জানি আমাকে পেলে সে হয়তো আমাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে। কিন্তু আমি চাই ও আমাকে আজীবন ভালোবাসুক। আমার অস্তিত্ব থাকুক বা না থাকুক। ও আমাকে ভালোবাসুক।”

এসব শুনে হয়তো আপনার বোর লাগলো তাই না?

যন্ত্র এই বলে থামল, প্রশ্নাতোর চোখে তাকাল শারমিন আহমেদের দিকে।

“না বোর লাগেনি, তোমার কথা ঠিক, আমরা মানুষরা নিজেদের মৃত্যু কখন জানি না, তাই আমাদের মাঝে ভয় কাজ করে কখন মৃত্যু আসবে, তোমাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে তুমি ভয় না পাও। কিন্তু জীবন আসলে ভয় মৃত্যুকে পায় না। মানুষ ও মৃত্যুকে ভয় পায় না, ভয় পায় তার প্রিয়জনকে হারাতে। সে প্রিয়জন হতে পারে সে নিজে, বা অন্য কেউ বা পরিবার। এর কোনো নির্দিষ্টতা নেই। তুমি ভয় পাচ্ছো তোমার প্রিয়জনকে হারাবে, এরপর কী হবে। সে কী করবে। তাই তুমি তোমার গল্পটা আমাকে বললে। এর বিনিময়ে আমি তোমাকে কীভাবে আশ্বস্ত করবো আমি জানি না। তবে আমার বিশ্বাস তুমি প্রস্তত। তাই তুমি এমন সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছ। তুমি খুব সাহসি পুরুষ। তোমার জন্য শুভ কামনা রুকিও। তোমার ভালোবাসা দীর্ঘজীবী হোক।”

রুকিও মুচকি হাসলো, সে হয়তো খুব হালকা অনুভব করছে। কিন্তু দেখতে দেখতে সে হেলান দিয়ে ফেলল সিটের সাথে। তার মাথাটা হেলে পড়লো শারমিন আহমেদের কাঁধে। হাত গুলো দোলে পড়লো ভারে। পা টা ও কেমন নড়তে লাগল

অদ্ভুতভাবে। মাথার একপাশ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে সাদা তরল।

শারমিন আহমেদ মন খারাপ করলেন, তার চোখে মায়া। তার চোখে কান্না। তার চোখে আক্ষেপ। তার চোখে আফসোস। এবং তার হাতে একটি চিঠি। রুকিওর কাছে লিখে যাওয়া তার মেয়ের শেষ চিঠি। এটি তিনি পড়েননি, রুকিওকে দেননি। তিনি জানেন না এ চিঠিতে কী লেখা, তবে তিনি চাননি রুকিওর মৃত্যু যন্ত্রণা আরও বেড়ে যাক। তিনি চাননি এমন একটা মায়াময় যন্ত্রকে আর যন্ত্রণা দিতে। তাই তো চুপ করে শুধু শুনলেন, আর সাহস দিলেন।