প্রিয়,
আমি কে তা হয়তো বুঝতেই পারছো। অথবা বুঝতে নাও পারো। কত চিঠি, কত মেসেজই তো আসে তোমার কাছে। দুঃখিত আপনার কাছে। নেহাৎ সময়টা ব্যস্ততাহীন কাটছে বলে আপনাকে লিখছি। নাহয় কবেই ভুলে যেতাম মেহের নামক মানুষটাকে। হাহা, ভুল শুনলেন, ব্যস্ততাতেও মাঝে মাঝে ওকি দিতে ইচ্ছে করে আপনার ছবির দিকে। আপনাকে তো পাওয়া হবে না। সে ভাগ্য যোগ্যতা নেই বলেই যত যা অনুভূতি সব লিখা আর দেখাতেই সীমাবদ্ধ। নয়তো যেদিন দেখা হয়েছিল, হাতটা ধরতাম, সাহস হয়নি। সাহস হতে সময় লাগবে, কিন্তু তার আগেই তো আপনি হাওয়া। অবশ্য আপনাকে দোষ দিই না। তাছাড়া আপনি তো ক্ষণিকের মোহে ভালোবেসেছিলেন, আমি তো বুঝতে পেরেছিলাম। তাই আপনাকে ভালোবাসিনি। কিন্তু আপনার গুন, আপনার অদ্ভুত মায়াময় মুখ, আপনার ভেতরকার আত্মাটা যে খুব সরলতম। সে সরলতম আপনার প্রেমে পড়তে আমার দ্বিধাবোধ হয়নি। না, আপনাকে পাবার জন্য বলছি না। এসব বলছি শুধু বলা হয়নি বলে। কেন ভেতরে খচখচানিটা রেখে দিবো। কেন ভালবাসি বলতে নিজেকে আটকাবো। হোন অন্য কারোর, আমি তো অধিকার রাখি না বাঁধা দেওয়ার বা বলা যায় সাহসও করি না। কিন্তু আফসোসটা হলো,
আপনার আমার সাথে দেখা না হলেই ভালো হতো। আমার এখনও মনে হয়, আপনি আমাকে দেখার পর আমার সাহস, আমার চেহারা, আমাকে সম্পূর্ণ অপছন্দ করেছেন। নিজেকে আমার যতটা ভালো লাগতো, আপনি আমাকে অপছন্দ করার পর থেকে আর সেটা লাগছে না। খুব অদ্ভুত সত্য হলো, জীবনের ভেতর এখন সংক্রমিত হচ্ছে ডিপ্রেশন। আপনাকে না পাবার, আপনাকে পাবার চেষ্টা না করার ডিপ্রেশন।
আমি মনে করি সত্য ভালোবাসা বলে কিছু হয় না। কিন্তু এটাও ঠিক যে সত্য ভালোবাসা আসলে হয়। কিন্তু কতিপয়ের জীবনে সেটা আসে, কতিপয়ের আসে না। আজকাল খুব একাকীত্বে ভুগছি, মানুষকে বিরক্ত করতে ইচ্ছে করলেও করি না। কি জানি কে কী বলে। নিজের একটা মানুষ হিসেবে আপনাকে নির্বাচিত করেছিলাম, ভেবেছিলাম হয়তো বিরক্ত করলে সেসব আপনি নিবেন কিন্তু সে ভাগ্য আমার কই। আমি তো সেই মনের মানুষ নয়। আরো বেশি মন খারাপ হয়েছিল আপনার ইন আ রিলেশনশিপ দেখে। আর অবাক হয়েছিলাম আবার বিবাহিত আপনাকে দেখে। কী হচ্ছে আপনার জীবনে আমি জানি না। আমি এও জানি না আমিই বা কী কারণে লিখছি আপনাকে। কেন খু্জে বের করেছি আপনার জিমেইল। কেন আপনার জীবনে আমি বারবার মেসেজ হয়ে ফিরছি। আমি তো কেউ নই, কেউ ছিলাম না এ জীবনে। আশা করবো যেন পরের জীবনটাতে আপনার মতো বা আপনাকেই পাই।
এ জীবনটাতো আপনার হাত ধরার সাহসও করে উঠিনি। তবে এটাই প্রশান্তির, আমি কতটা নিচে বসবাস করি আপনার থেকে, তার একটুও হলে আপনাকে দেখাতে পেরেছি। আপনার হাত ধরার মতো মানুষ হয়ে যেন পরের জন্মটা হয়৷
আপনার ভালোবাসার একজন পারমানেন্ট মানুষ হয়ে যেন পরের জন্মটা হয়। আপনাকে ভালোবাসি।
এ চিঠি টাইমলাইনে দিবেন না। এটা আপনাকে লিখেছি, শেষ চিঠি হিসেবে লিখেছি। জানি না এ চিঠি পাবেন কি না। পড়বেন কি না। শুধু জানি, এ চিঠি হয়তো পৌঁছাবে। যেই পড়ুক, সে জানবে একটা ছেলে একটা মেয়েকে ভালোবেসেছিল।
এবং সে ভালোবাসার মানুষটার ক্ষমতা থাকলে _ ক্ষমতা বলতে আমি কনফিউজড ছিলাম আপনি ভালোবাসেন কি না।
বাদদিন সেসব_ ভালো থাকুন, সুখ আসুক আপনার জীবনে। শান্তিতে আপনার বসবাস হোক। বিদায় প্রিয়তমা।
ইতি,
অবহেলিত প্রেমিকটি
No comments