১০টি গল্পের প্লট বা আইডিয়া
১. টাইগার জিন্দা হে
তোরা হয়তো ভাবছিস আমি কথাটা হিন্দিতে কেন বললাম৷ আমাদের সময়টাতে এই নামে দুইটা মুভি বেরিয়েছিল, সালমান খানের। আর এখন দেখ! তোদের কত পরিবর্তন! শিল্প সাহিত্য বলতে কিছু নেই, এরই সাথে হারিয়েছে কত কী। আমাদের সময় ফোন ছিল, লেপটপ ছিল, কম্পিউটার ছিল মোটা, ওয়াফাই ছিল। আমাদের সময়টাতে ওয়াইফাই ব্যবহার করতে মাঝে মাঝে বন্ধুর বাসাতে বা চাকরিতে গেলে ওখানে এক্সট্রা সময় দিতাম। আর এখন! তোরা কত সুখে আছিস। বসে বসে শুধু পড়ছিস আর মাঝে মাঝে হায় তুলছিস। যদিও ঘুম কম হলেও তোদের সমস্যা হয় না।
এবার তোদের টাইগার জিন্দা হে বলার পিছনের গল্পটা বলি, শুনবি? নাকি বোরিং লাগবে? অনেকবছর আগের গল্প এটা, যখন গাছপালা প্রায় কেটে ফেলা হচ্ছে সবদিক থেকে। চট্টগ্রাম শহর প্রায় হয়ে যাচ্ছে ঢাকা শহরের মতো দালানের পাহাড়। সুন্দরবন, যাকে নিয়ে এত হৈচৈ ছিল, তার অধিকাংশ গাছপালা কাটতে শুরু করেছে জনগন। কী করবে? মানুষের বসতি বেড়েছে, থাকাটা জরুরি! কোনো থানুস ছিল না যে ব্যালেন্স করবে। এমনকি দেশের বাইরে যাওয়ারও কোনো উপায় ছিল না তখন।
২. ডক্টর এজ
গভীর জঙ্গলে দ্রুত পা চালিয়ে যাচ্ছিলাম আমি আর আমার বন্ধুরা। সুমন, তাইরান, আর আবীরকে তো চিনো তোমরা৷ গিয়েছিলাম পাহাড়ে হাইকিং করতে কিন্তু মাঝ দিয়ে পথ ভুলে হলো যত বিপত্তি। পথিমধ্যে ভাবছিলাম, এই সামান্য বাংলাদেশের জঙ্গলে পথ ভুলে যাচ্ছি! এমাজন হলে কী অবস্থা হতো আমাদের!
থেকে থেকে বাঘের গর্জন শুনতে পাওয়া যাচ্ছে দূর থেকে৷ তাইরানের চোখ মুখ দেখে বুঝতে পারছি বেচারা প্রচুর ভয়ে আছে৷ আমরা যত পথ পাড়ি দিচ্ছি তত মনে হচ্ছে চারপাশের জঙ্গলে বিচরণ করছে কিছু একটা যেন।
এর মাঝে হঠাৎ সামনে এসে দাঁড়াল কালো জ্যাকেট পরা এক লোক। লম্বাটে চুল নেমে এসেছে মুখ অবধি। হাসিতে একধরণের কুটিলতা প্রকাশ পাচ্ছে তার৷ আমাদের দিকে ধীরে ধীরে এগুতে লাগল সে। এমন লম্বা মানুষ আমি কখনো বাংলাদেশের জমিনে দেখিনি৷ আমরা কেন জানি খুব ভয় পাচ্ছি তাকে।
৩.প্রফেসর শঙ্কুর চিঠি....(মেইবি ইটস কল ফ্যানফিকশন)
Miraculous.
সর্বরোগের ঔষুধ নিয়ে প্রফেসর শঙ্কু আমাদের সামনে পরিচিত পেলেও
তা কি আদৌ আবিষ্কার হয়েছে? জি হয়েছে, এই যে দেখতে পাচ্ছেন! এখানে থাকা ঔষধ আপনার সব রোগ সারিয়ে দেবে।
এমনভাবে প্রচার করতে হয় না ডাক্তার নয়ন চৌধুরীকে। তার ঔষুধের যে কি ক্ষমতা! তা এ গ্রামের সবাই জানেন। এমনকি দূর দূরান্ত থেকে লোকে আসে তার ঔষধ কিনতে৷ এমন কোনো রোগ নেই যার নিরাময় নয়ন করেন না। প্রশংসার উচ্চ শিখরে তাকে রাখেন গ্রামের মানুষেরা।
ভালোবাসার বন্ধনের কারণেই বিদেশ বিভুইয়ের থেকে আসা বড় বড় সাইন্টিস্ট গবেষকদের সাথে তিনি যাননি। বলেছেন, "আপনারা মানুষের কল্যাণের জন্য আমার এই ঔষুধের ফর্মুলা নিয়ে যান, এখানে সব আছে, তবে আমাকে টানবেন না, আমি গাঁয়ের ছোটখাটো হাতুড়ি ডাক্তার, আমার ওখানে চলবি না। ক্ষমা করবেন।"
লোভ দেখিয়েছেন কত, অফারের বন্যা। উনার জায়গায় অন্য কেউ হলে হয়তো দৌড়ে যেত৷ কিন্তু ইনি ডাক্তার নয়ন চৌধুরী। এই গৌরি গ্রাম উনার প্রাণ। এমনকি ডাক্তারি পড়ার পিছনেও কারণ এ গ্রামে থেকে সবার চিকিৎসা করা। ছোটবেলায় ভালো ডাক্তারের অভাবে উনার মা মারা যান৷ বলা যায় এ কারণেই মূলত ডাক্তার হওয়া৷ আর অগাধ জ্ঞান ও গবেষণা করে উনি এই ঔষুধটি বানিয়েছেন।
এমনকি গৌরি গ্রামের মতো জায়গায় আছে স্বয়ংক্রিয় চিকিৎসা করতে পারা যন্ত্র। জটিল জটিল অপারেশনে এ যন্ত্র অনেক সাহায্য করে তাকে।
এটা ঠিক কিভাবে? তিনি যখন বড় হতে থাকেন তখন বুঝতে পারেন যে একজন ডাক্তার একা হাতে সব করতে পারেন না তার সহযোগীর ও দরকার হয়।
তাই তিনি তার বন্ধুদের দিয়ে এমন সব যন্ত্র বানিয়েছেন যেন অতিরিক্ত মানুষের দরকার না হয় এবং সবাই যেন সুচিকিৎসাটা পায়।
আজ শনিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৪ইংরেজি।
আমার জার্নালটা লেখার একটা বিশেষ কারণ ডাক্তার নয়ন চৌধুরী।
বাংলাদেশের গৌরি গ্রামে থাকা এই ডাক্তার সত্যি অসাধারণ এবং অপূর্ব একটি কাজ করছে৷ আমার মনে হয়, আমার মিরাকিউরাল নিয়ে আমি অতটা মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারিনি যতটা উনি পেরেছেন। উনার বন্ধুদের নিয়ে তৈরি ম্যাডিক্যাল হ্যাল্পিং রোবটস গুলো এবং উনাদের যন্ত্র গুলো যতটা মানুষের সাহায্য করছে যতটা মানুষের জীবন বাঁচাচ্ছে,
আমার এক মূহুর্তের জন্য মনে হলো যেন আমি একবার গিয়ে ইশ্বরসম সে মানুষটাকে দেখি।
তাই আজ প্রথম আমি উনার নিকট একটা মেইল লিখবো। উনাকে আমার সব ফর্মুলা এবং আমার সব বই দিবো। উনি অসংখ্য সাইন্টিস্ট বানাবেন এ সকল দিয়ে। জ্ঞানের প্রচার করবেন এবং মানব কল্যান করবেন। সে আশ্বাস নিয়ে আজ একটি মেইল করবো আমি।.... …..
৪.
"Nobody believed me", কথাটা বলেই বৃদ্ধ ইংরেজ ভদ্রলোক আকাশের দিকে তাকালেন। তার ঘরের ছাদটা তীর্যক ভাবে লাগানো কাঁচের জানালায় ঘেরা। কাঁচের ফাঁক দিয়ে বিষন্ন আকাশ দেখা যাচ্ছে।
আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা ভদ্রলোকের দিকে তাকিয়ে সাবির ধীরে ধীরে বেরিয়ে যেতে পা বাড়ালো। এখানে তাহলে বিশেষ কোনো উত্তর পাওয়া গেল না। দরজার পাশ অবধি গিয়েছে এমন সময় তিনি বললেন, " Just see this sky, just Rain.just rain."
সাবির কিছু সময় তাকিয়ে থাকলো উনার দিকে। ওইটুকু বলার পর আবার আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি। অদ্ভুত লোকটা, সত্যিই অদ্ভুত।
গাড়িতে উঠে বসতেই তিন বন্ধু জিজ্ঞেস করল, কী বললেন উনি!"
সাবির রাগত স্বরে বলল, ওই তো, আগের বুড়ো গুলার মতোই, সি দা স্কাই, জাস্ট রেইন জাস্ট রেইন।"
"কিন্তু বৃষ্টি কিভাবে হবে? পুরো পৃথিবীতেই তো খরা চলছে।"
আরেক বন্ধু কথাটা যোগ করল।
"জানি না, চল।"
গাড়ি স্টার্ট হলো। দ্রুত গতিতে চলছে সেটা। আর কিছু সময় পর সকাল হবে। সকালের আলোয় চলা কঠিন হয়ে যাবে। এক ধরনের মাংসাশী প্রাণীর প্রকোপ পুরো পৃথিবীতে। আর এসবের পিছনে যে সকল বিজ্ঞানীরা ছিল তাদের অনেকেই মারা গেছে। আর যারা যায়নি তাদের মাঝে দেখা দিয়েছে এক ধরনের অদ্ভুত রোগ। এখন এ প্রাণীদের মারার জন্য কিছু একটা করতে হবে নয়তো মানুষের ঠিকে থাকাটা কঠিন হয়ে যাবে।..........
৫.হুডি
অজস্র মানুষ হেঁটে হেঁটে চলে যাচ্ছে। ব্যস্ততার ফাঁক গলে শহরের কারোর সময় হচ্ছে না কারোর দিকে তাকানোর। গাড়িদের হর্ন, মানুষের পায়ের শব্দ এবং সব চাপিয়ে মনোযোগ সব, যা তারা করছে তাতেই জমে আছে। কিন্তু কয়েকজন থাকে যারা কেবল তাকিয়ে থাকে আর ভাবতে থাকে, যারা রেগুলার প্যাটার্নটা অনুসরণ করে না।
শুভ তাদের একজন। আনমনে হাঁটতে হাঁটতে শহরের রাস্তায় একটা কালো মতো কিছু পড়ে থাকতে দেখে থমকে দাঁড়ালো সে। এর মাঝে একজনের সাথে ধাক্কা খেতে হলো। সরি বলল লোকটাকে তারপর আরেকবার জিনিসটাতে হাত দিতে গেল৷ কিন্তু হাত দিতে যাবে এমন সময় একটা লোক তাকে থামিয়ে দিলো ডাক দিয়ে।
"এই! ওটা নিস না, ওটা ভালো কিছু নয়।"
দূরে বসে থাকা মানুষটার একটা পা নেই। রাস্তার ফুটপাতের ওপাশে বসে থেকে আনমনে এতক্ষণ গান করছিল। এখন ওর দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু উনার কথা ধরার পাত্র শুভ নয়। সে হাতটা আরো এগিয়ে দিচ্ছে৷ লোকটা আর কিছুই না বলে আফসোসের সাথে মাথা দোলালো।
..…..
৬. ডোরেমন ডোর....
দরজা দিয়ে ভিতরে ঢুকতেই অদ্ভুতভাবে কোথায় যেন পৌছে গেল বোহেমিয়ান। চারপাশে জঙ্গল, মরা গাছেদের ভীড়ে শোনা যাচ্ছে গর্জন। হিংস্র ভয়ংকর গর্জন। কপাল ভিজে গেল তার। গলা হঠাৎ শুকিয়ে এলো। এগুতে থাকলো গন্তব্য হারা হয়ে। চারপাশের পরিবেশটা বড্ড অপার্থিব ও পৃথিবীর নয় মনে হলো তার।.....
৭. শিশু
কপালের ঘাম মুছে প্রয়োজনের বেশি গতিতে কন্টেইনারটাকে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সৌম। এর মাঝে পাশের জনকে ফেলে দিয়েছিল রাস্তার মাঝে। কন্টেইনারটা দ্রুত ঢাকা শেষ করে চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকার জঙ্গলের গন্তব্যে যাচ্ছে। রাতের এই প্রহরে পুলিশি টহল নেই।
সৌম গাড়িতে কড়া বাঁক দিতে দিতে পৌছে গেছে নিজের গন্তব্যে।
কিন্তু গাড়ি থামিয়ে যখন নিচে নামলো তখন আর সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারলো না সে। ভিতর থেকে কী যেন একটা শব্দ এলার্মের মতো হয়ে চলল। সৌম নিজের কাঁধের দিকটাতে হাতটা নিয়ে গেল।
কিছু একটা ছুঁতেই শিরদাঁড়া শক্ত হয়ে এলো তার। মূহুর্তে পুরো শরীর কেঁপে উঠলো৷ হাঁটু গেঁড়ে বসে পড়লো সে, দাঁড়িয়ে থাকার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। এলার্মের শব্দ বাড়তে বাড়তে পুরো মাথা ফেটে পড়লো।
মন্ডুহীন দেহটা ধপ করে মাটিতে পড়ে গেল। কন্টেইনারের ভিতর থেকে ভেসে এলো শত শত কান্নার শব্দ।
................
৮. আজ শুক্রবার
মফস্বল কাম শহর পায়রাকান্দিতে আজ প্রথম একটা বাইক ঢুকলো। পাকা রাস্তা ধরে এগিয়ে চলেছে সেটা। বাইকের আরোহী বারবার চারপাশের বাড়ি ঘরের দিকে তাকিয়ে বুঝার চেষ্টা করছে মানুষজন কেন নেই। কিছুদূর যেতেই জঙ্গল। বাড়িঘরের ফাঁকে ফাঁকেও গাছপালা ছিল কিন্তু এখন গাছপালার ফাঁকে ফাঁকে বাড়িঘর। বাইকের গতি ধীর।
তেল শেষ হয়ে যাবে আর কিছু সময় পর।
আরোহীর মন অস্থির ও চোখ বারবার কোনো মানুষ দেখার অপেক্ষা করছে। দুপুরের সূর্য নামতে নামতে বিকেল হলো।
আরোহীর বাইক স্থির হয়ে গেল সময় যেতে না যেতেই।
..….….......
৯. মধু খাওয়া ভালো নয়
"মি. রাহাত! আপনার কী মতামত এই রোগ নিয়ে?"
"রোগ!"
"তাহলে কী ওটা, হঠাৎ করে শরীর জমে যাওয়া, হাতে পায়ে নখ অস্বাভাবিক বড়, দেখছেন না! হঠাৎ করে মানুষকে আক্রমন করা।"
"ওটা রোগ নয় টনি, ওটা কারোর গবেষণার ফল।"
"এতটা শিউর করে বলছেন কিভাবে? "
"কখনো কাউকে দেখেছো সুস্থ সবল জীবন থেকে হঠাৎ মারাত্মক হিংস্র হয়ে যেতে! শরীর বিকৃতি হতে?"
"না তা....কথাটা বলতে গিয়ে টনির চোখ পড়লো সামনে থাকা মানুষটার দিকে। এ যেন মানুষ নয়, মানুষের আকৃতিতে কোনো বিদঘুটে জন্তু। ওটাকে একটা বড় কাচের ফ্লাস্কে পানির মাঝে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু এ ঘুম কতটা দীর্ঘস্থায়ী, তা তারা দুজনের কেউই জানে না।
বিশাল এই রুমটাতে তারা সহ আরো চার-পাঁচজন লোক আছে। তারা অবাক হয়ে দেখছে ওটাকে। একবার দেখলে মনে হবে কোনো এলিয়েনের শরীর ওটা, কিন্তু না। এটা একটা মানুষের শরীর, তাঁর নাম ফরহাদ, পেশায় চাকুরীজীবি। একাকী জীবনে পরিবার বলতে শুধু তার মা। এখন তার মায়ের দেখাশোনার দায়িত্ব রাহাত নিয়েছে। আর ফরহাদের ব্যাপারটায় বলেছে, বিদেশ গিয়েছে একটা কাজে, ফিরতে দেরি হবে।
একজন মাকে কী করে ছেলের অবস্থাটা জানাতে হবে, রাহাত তা জানে না। তাই খুব বেশি কথা সে উনার সঙ্গে বলেনি। তাদের গবেষণাগারে এখন ফরহাদকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এই রোগ বা
এই গিনিপিগটাকে সুস্থ করে তোলাটা বেশ দুঃসাধ্য বলেই মনেই হচ্ছে রাহাতের।
রাতের খাবার শেষ করে গবেষণাগারের দিকে যাওয়ার জন্য গাড়ি বের করল রাহাত। এর মাঝে টনি কল করল। কল ধরতেই শোনা গেল শুধু চিৎকার। হ্যালো হ্যালো করেও কোনো মানুষের গলার আওয়াজ পাওয়া গেল না। রাহাত একবার গাড়ির ডেস্কে থাকা পিস্তলটা
দেখে নিলো।
দ্রুত গাড়ি চালিয়ে পৌছে গেল গবেষণাগারে। বাইরের দারওয়ান ইতিমধ্যে পালিয়েছে, দাঁড়িয়ে আছে পুলিশের গাড়ি।
মাত্রই এসেছে।
রাহাতকে দেখে ইনস্পেকটর বাবুল বলল, "ভিতরে কি হয়েছে জানো?"
"হ্যাঁ, ওখানে একটা ভিকটিমকে রেখে সুস্থ করার চেষ্টা করছিলাম আর"
"সুস্থ না হলে মেরে ফেলতে, এতগুলো লোকের জীবন বাজিতে রেখে ওটাকে বাঁচানোর কি দরকার?"
নিজের বাল্যকালের বন্ধুর মুখে এমন সোজাসাপ্টা উত্তর শুনে কেমন একটা হতবাক দৃষ্টিতে তাকালো রাহাত।
একটু ইতস্তত করে বাবুল প্রসঙ্গ বদলে বলল, "এই তোমরা পজিশন নাও, আর গড়বড় দেখলেই ফায়ার করবে।"
থেমে রাহাতের দিকে ফিরে বলল, "চল"
......
১০.
নিঃশ্বাস প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে তার। কতক্ষণ এভাবে রাখা হবে সে নিয়ে মতামত শুধুমাত্র হেড স্যারই দিবেন। উনি বেশ কিছু সময় তাকিয়ে আছেন সামনে থাকা বস্তুটির দিকে। একটা ফ্লাস্কের মাঝে একটা ছোট মানুষ। উচ্চতা হাফ ফুট।
মানুষটার মস্তিষ্কের সাইজটা সবচেয়ে বেশি বড়। ছোট ছোট অঙ্গ গুলো ছড়িয়ে আছে, ভাসছে তরলের মধ্যে। স্বচ্চ তরলের মাঝে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ওর কষ্ট। কিন্তু ওর কষ্ট নিয়ে ভ্রূক্ষেপহীন সবাই। হার্ট রেট, এবং শরীরে রক্তচলাচল রক্তচাপ, মস্তিষ্কের
রেসপন্স সব সেকেন্ডের হিসেবগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ক্লান্তিহীন একটানা দেখে যাচ্ছে।
হেড স্যার তার চশমাটা খুলে পকেটে রেখে একটা নিঃশ্বাস ফেললেন।
আরো কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে পিছন ফিরে সময় দেখলেন হাতঘড়িতে।
No comments